নিজের নামের সঙ্গে ‘খান’ থাকায় এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়ায় নিউ ইয়র্কের
হোয়াইট প্লেইনস এয়ারপোর্টে কয়েক ঘণ্টার পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয় শাহরুখ খানকে।
প্রায় দুই ঘণ্টা ওই বিমানবন্দরের পুলিশ ডিপার্টমেন্টে শাহরুখকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও
করা হয়। শাহরুখ খান বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বই থেকে
ইয়েল ইউনিভার্সিটির উদ্দেশে
আমেরিকার পথে রওনা হন। ইয়েল ইউনিভার্সিটির সম্মানজনক
ফেলোশিপ নিতে সেখানে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিমানবন্দরে সেই কথা
বলার পরও পুলিশ ছাড়েনি শাহরুখকে। দুই ঘণ্টা পর শাহরুখের এই নাজেহালের খবর ইয়েল
ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছালে তারা এসে তাকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যায়। এদিকে শাহরুখের
এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, শাহরুখ খান এই ঘটনায় অনেক কষ্ট
পেয়েছেন। এমনকি তিনিও তার এই নাজেহালের কথা ইয়েল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের
জানান। তিনি এই ঘটনা নিয়ে মজা করে বলেন, আমার যখনই ইচ্ছা
করবে এয়ারপোর্টে একটু বেশি সময় কাটানোর, আমার মনে হয় তখন
আমার আমেরিকায় চলে আসা উচিত। কারণ, এখানকার পুলিশ আমাকে
খুব জলদিই ছাড়তে চায় না। শাহরুখ তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতার ব্যাপারে বলেন,
তারা আমাকে আমার উচ্চতা কতো জানতে চেয়েছিল, আমি ভুল বললাম। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার গায়ের রঙ কি? আমি বললাম, আমি শ্বেতাঙ্গ ছিলাম। এতেই মনে হয়
তারা একটু ক্ষেপে গিয়েছিল। কিন্তু আমার কাছেও তাদের প্রশ্নগুলো অপমানজনক লাগছিল।
শাহরুখ এখন ক্ষণে ক্ষণেই আমেরিকা এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মজা করছে।
নাজেহাল হওয়ার পরপরই শাহরুখ তার টুইটারে লিখেন, আবারও
কয়েক ঘণ্টার জন্য আমেরিকার পুলিশ আমাকে তাদের বিশেষ নজরদারিতে রেখেছিল। আমি যখনই
নিজেকে তারকা ভাবতে শুরু করি, তখনই আমেরিকায় এসে আমার সেই
সব ভাবনা মাটির সঙ্গে মিলিয়ে যায়। এদিকে শাহরুখকে জেরা করার প্রতিবাদে ভারতে
শাহরুখ ভক্তদের মধ্যে এখন শুরু হয়েছে আমেরিকা বিরোধী বিক্ষোভ। ভারতের বিভিন্ন
রাজ্যের শাহরুখ ভক্তরা আমেরিকার বিরুদ্ধে স্লোগান
দিয়ে রাস্তায়ও নেমেছে।
No comments:
Post a Comment