Wednesday, April 11, 2012

বন্ড’ সিরিজের ‘বন্ড গার্ল’রা


প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
আকর্ষণ আর উত্তেজনায় ভরা প্রতিটি বন্ডমুভি। কেউ বন্ডসিরিজের গেজেটের জন্য পাগল, কেউ বা বন্ডর সাহসিকতার ভক্ত। তবে এসবকেই ছাপিয়ে যায় বন্ডসিরিজের বন্ড গার্লরা। প্রতিটি বন্ড সিরিজেই দেখা যায় ক্যাসিনোভা গোয়েন্দা জেমস বন্ডকে একেক জন সুন্দরীদের সঙ্গে। কোনো সিরিজে থাকে রাশিয়ান
সুন্দরী, কোনোটায় গ্রিক। কোনো সুন্দরীকে আমদানি করা হয় ইতালি থেকে, কাউকে আবার জাপান থেকে। এবারের বন্ড গার্ল এসেছে ফ্রান্স থেকে। পুরো বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে আছে বন্ড গার্লরা। তাদের মধ্যেই কয়েকজন স্মরণীয় বন্ড গার্লদের একাল আর সেকাল নিয়েই এই প্রতিবেদন।

উরসুলা অ্যান্ড্রেস
প্রথম বন্ডসিরিজের প্রথম বন্ড গার্ল। যার আকর্ষণীয়তা এবং আবেদনকে এখনো স্পর্শ করতে পারেনি কেউ। সুইম স্যুট পড়ে ক্যারিবীয় সাগর থেকে উঠে আসা উরসেলার সেই ভঙ্গি আজ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কেউ। ডক্টর নো’-তে উরসুলার পরা আইকনিক সেই সুইম স্যুটটি ২০০১ সালে নিলামে ওঠে। যা বিক্রি হয় ৫৬ হাজার ডলারে।

এখন উরসেলার বয়স ৭৬। এখনো সবাই তাকে হানি রাইডারনামেই চেনে। ক্যারিয়ারের শুরুতে এই আইকনিক অভিনেত্রী বিয়ে করেন পরিচালক জন ডেরেককে। পরবর্তীতে তার সসঙ্গে তার বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু এরপর আর বিয়ে করেননি তিনি। জনপ্রিয় অভিনেতা মারলন ব্র্যান্ডে এবং জেমস ডিনের সঙ্গে এই বন্ড গার্লের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেক বছরের।

ডায়না রিগ
এখন তার বয়স ৭৩। জেমস বন্ডের একমাত্র স্ত্রী। ১৯৬৯ সালের অন হার মেজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিসেসছবিতে ট্র্যাসিচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এ পযর্ন্ত জেমস বন্ডের একমাত্র স্ত্রী এই ট্র্যাসিই ওরফে ডায়না। যদিও ছবিতে বিয়ের দিনই গুলিতে এই বন্ড গার্লের মৃত্যু হয়। কিন্তু বন্ডের স্ত্রী হওয়ার গৌরব ডায়না ছাড়া আর কেউই আজ পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি।

তবে বন্ডের স্ত্রীর চেয়ে ডায়না সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেন বৃটিশ টিভি সিরিজ দ্য অ্যাভেঞ্জার’-এমাচরিত্রে অভিনয় করে।

অনর ব্ল্যাকম্যান
১৯৬৪ সালের গোল্ডফিঙ্গারছবির পুসি গ্যালোরকে ভোলা বন্ড ভক্তদের অনেক কঠিন। পুসি শুধু বন্ড ভক্তদের মনেই না, জায়গা করে নিয়েছিল বন্ড স্রষ্ঠা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের মনেও।

লাস্যময়ী পুসি চরিত্রের সেই অনরের বয়স এখন ৮৬। যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বন্ড স্ত্রী ডায়নার মতো এই বন্ড গার্লেরও দ্য অ্যাভেঞ্জারখ্যাতি রয়েছে।

জেন সেমোর
বন্ড সিরিজের লিভ অ্যান্ড লেট ডাইছবিতে কাজ করেছিলেন এই সুন্দরী। যিনি ছবিতে ট্যারোট কার্ড রিডার এবং অ্যাধাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।

এখন জেনের বয়স ৬১। চারবার বিয়ে হয়েছে তার, চার সন্তানের জননী তিনি। সেই বন্ড ছবির পর সামহোয়ার ইন টাইম এবং ডক্টর কুইনিন: মেডিসিন উইমেননামে ছবিতে অভিনয় করে নিজের স্বতন্ত্র একটি পরিচিত গড়ে তোলেন জেন। তিনি জিতে নেন একটি অ্যামি, দুটো গোল্ডেন গ্লোব এবং হলিউডের ওয়াক অফ ফেইমে জায়গা।

মড অ্যাডামস
সত্তর দশকের সুপারমডেল ছিলেন মড। যাকে ১৯৭৪ সালের দ্য ম্যান উইথ গোল্ডেন গানছবিতে বন্ড খলনায়কের রক্ষিতার ভূমিকায় দেখা যায়। অ্যান্ড্রিয়া অ্যান্ড্রেস চরিত্রে মড বিশ্বজুড়ে বেশ আলোড়ন তোলেন। তার কথা বলার ভঙ্গি, তার আবেদন-সবই বন্ড গার্ল হিসেবে খাপে খাপে মিলে গিয়েছিল।

এখন মডের বয়স ৬৭। তবে এখনো তার ভেতর ওই বন্ডগার্লের তেজ দেখা যায়। শুধু ওই এক ছবিতেই না। ১৯৮৫ সালে বন্ড সিরিজের ছবি এ ভিউ টু কিল’-এও মডকে এক্সটাহিসেবে দেখা গিয়েছিল।

No comments:

Post a Comment